কিভাবে ফেসবুকে কনটেন্ট মনিটাইজেশন পাবেন

কিভাবে কন্টেন্ট বানালে ফেসবুকের ভিউ বেশি হয়

বর্তমানে ভাইরাল হওয়ার যুগে ভালো কনটেন্টের আশা করাটা বেশ কঠিন। আমাদের দেশে এখন মানুষ ভালো কনটেন্টের চাইতে ভাইরাল হওয়ার জন্য উদ্ভট কর্মকান্ডের করে থাকে। যা আমাদের জন্য খুবই শোচনীয় অবস্থা। প্রতিটি মানুষের উচিত তার দেশের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রাখা এবং সেই মোতাবেক কাজ করা। আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে ফেসবুকে ভদ্র শোভনীয় জিনিসপত্র ভিডিও করতে হবে। অন্যের কনটেন্ট চুরি করা যাবে না এবং অন্য ধরনের কপিরাইট যুক্ত রাখা যাবে না। 

ভাইরাল টপিকে ভিডিও বানালে ফেসবুকে ভিউ বেশি হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে ভালো জিনিসের চাইতে খারাপ জিনিসই বেশি ভাইরাল হয়ে থাকে। তাই আমাদের উচিত শালীন এবং সুন্দর ভিডিও তৈরি করা, যা মানুষেরা পছন্দ করবে। শুধু টাকা ইনকামের নেশায় যা ইচ্ছা তাই ভিডিও তৈরি করলে নিজের পেজের এবং নিজের সম্মানহানি হবে। 

যে ধরনের কনটেন্ট বানালে ফেসবুকের ভিউ বেশি হয়ে থাকে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু। আমাদের অনেক সামাজিক সমস্যা রয়েছে এবং সেগুলো সমাধান করার জন্য অনেকে কাজ করে যাচ্ছে। এ ধরনের ভিডিও এখন মানুষের অনেক পছন্দ করে থাকে।  কারণ বর্তমানে মানুষ অনেক বেশি সচেতন হয়ে গিয়েছে। ভিডিও তৈরি করলে এইগুলোর রিচ বেশি পাওয়া যাবে।

আপনার কনটেন্ট হতে হবে আপনার নিজস্ব তৈরি, সেখানে কোন অন্য কোন পেজের সাথে মিল পাওয়া গেলে সেই কনটেন্ট ফেসবুক পছন্দ করেনা। তখন ফেসবুক পেজে সেই ভিডিওতে কপিরাইট ক্লেম চলে আসে । ফলে ভিডিওর মান নষ্ট হয়ে যায়। এভাবে পরপর কয়েকবার কপিরাইট আসলে কখনোই আর ফেসবুকের মনিটাইজেশন পাওয়া যায় না । কিভাবে ফেসবুকে কনটেন্ট মনিটাইজেশন পাবেন সেটা জানার জন্য পুরো লেখাটি পড়তে থাকুন। 

বর্তমানে ফেসবুকে ইনকাম করার অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। যে কোন মানুষের হাতে যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে সে তার বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারে। ফেসবুক থেকে ইনকাম করে মাসে লাখ-পতি হতে পারে। ফেসবুকের কনটেন্ট যদি হয় স্বচ্ছ এবং নিজস্ব তৈরি তাহলেই কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পাওয়া একদমই সহজ। প্রতিদিন সময় করে একটি করে হলেও ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করলে কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পাওয়া যায়। 

কিভাবে ফেসবুকে কনটেন্ট মনিটাইজেশন পাবেন সেটা কি জানতে পেরেছেন? কিভাবে ফেসবুকে কনটেন্ট মনিটাইজেশন পাবেন সেটি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে হলে পুরো ব্লকটি পড়তে থাকুন।

আরো পড়ুনঃ আমার বিয়ে হবে কবে

দ্রুত ফলোয়ার কিভাবে তৈরি হবে

আপনি যেহেতু এই অংশটি সার্চ করেছেন তার মানে অবশ্যই আপনার একটি ফেসবুক পেজ আছে। কি ঠিক বলেছি তো? আর যদি ফেসবুক পেজ নাও থেকে থাকে তাহলে আপনি মনে মনে ফেসবুক পেজ খোলার জন্য কল্পনা করছেন। আর আপনার যদি পরিকল্পনা হয়ে থাকে ফেসবুক পেজ খোলার তাহলে অবশ্যই আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চান এটি সম্পর্কে আমি নিশ্চিত। আপনার যদি ফেসবুক পেজ না থেকে থাকে তাহলে আপনি কিভাবে ফেসবুক পেজ খুলবেন সেই সম্পর্কে এই ব্লগে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। 

এখন আপনার যে ফেসবুক পেজটি রয়েছে সেটিতে মনিটাইজেশন পেতে হলে আপনার ফলোয়ার এবং আপনার কনটেন্ট থাকতে হবে। প্রতিটি কন্টেন্টের ভিউয়ের জন্য আপনার ফলোয়ার প্রয়োজন। তবে সেই ফলোয়ার গুলো হতে হবে স্বচ্ছ এবং যারা প্রতিনিয়ত আপনার কনটেন্ট দেখতে থাকবে। কোন ফেক অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার থাকলে সেটি বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে না। 

একটু চিন্তা করুন তো! আপনার ফেসবুক পেজে যদি ফেক অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার থেকে থাকে তাহলে সেখান থেকে কিভাবে ভিউ আসবে? এবং আপনি কিভাবে ফেসবুকে কনটেন্ট মনিটাইজেশন পাবেন? আপনার ফেসবুক পেজে মনিটাইজেশন পেতে হলে এবং ফেসবুক থেকে মাসিক ইনকাম করতে হলে অবশ্যই আপনার ফলোয়ার গুলো হতে হবে রিয়েল অ্যাকাউন্টের। । কেননা ফেক অ্যাকাউন্টের কোন ভিউ হয় না আর ভিউ না হলে মনিটাইজেশন হয় না। 

দ্রুত ফলোয়ার তৈরি করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভালো মানের ফলোয়ার তৈরি করা, যারা আপনার রেগুলার কন্টেন্ট দেখবে। আপনি দ্রুত ফলোয়ার পাওয়ার জন্য ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে ফলো দিয়ে থাকলে সেগুলো কোন কাজে দেবে না বরং আপনার পেজের ক্ষতি হবে। তবে দ্রুত ফলোয়ার পেতে হলে বেশ কিছু কার্যকরী দিক নির্দেশনা রয়েছে। সেসব দিকনির্দেশনার মধ্যে অন্যতম একটি হলো প্রতিনিয়ত একটি করে কনটেন্ট আপলোড করা। প্রতিদিন একটি করে রিলস শেয়ার করা। প্রতিদিন একটি করে তিন মিনিটের ভিডিও আপলোড করা। এতে করে ভিডিওগুলো অন্যান্য ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সামনে যাবে এবং আপনার ভিউ বৃদ্ধি পাবে। 

ফেসবুকে অযথা উল্টাপাল্টা ভিডিও আপলোড না করে মানসম্মত ভিডিও আপলোড করুন তবে আপনি ভিউ পাবেন। এবং আপনার ফলোয়ারদেরকে নিত্য নতুন ভিডিও উপহার দিন যেন তারা তা পছন্দ করে থাকে। কখনো এমন কন্টেন্ট আপলোড করবেন না যা সমাজের নিয়ম বহির্ভূত। এমন কোনো কন্টেন আপলোড করবেন না যা আপনার ধর্মকে ছোট করে। শুধু আপনার ধর্ম নয় বরং সমাজের অবস্থিত বিভিন্ন মানুষের ধর্মকে কটাক্ষ করে কোন ধরনের পোস্ট করবেন না। এতে করে আপনার ফেসবুক পেজে একটি নেগেটিভ ইফেক্ট করতে পারে। কেননা আপনার ফেসবুক পেজ আপনার একটি সম্পদ। আর এই সম্পদের রক্ষা করা আপনারই দায়িত্ব। 

ফেসবুকে কনটেন্ট মনিটাইজেশন পাওয়ার নিয়ম    

কিভাবে ফেসবুকে কনটেন্ট মনিটাইজেশন পাবেন সেটা নিয়ে চিন্তিত? আর নয় চিন্তা! আমি আপনাকে বলে দিব এমন কিছু নিয়ম যা আপনার ফেসবুকে কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পেতে সাহায্য করবে। তাই দেরি না করে পড়তে থাকুন। 

ফেসবুকে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো কনটেন্ট মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা। আপনি যদি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য সুবর্ণ সুযোগ। ফেসবুকে কনটেন্ট মনিটাইজেশন পেতে হলে আপনার কনটেন্ট গুলো হতে হবে নিজের তৈরি অন্যের কপি করা না। সেইসাথে আপনার ভিডিওগুলো হতে হবে ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন। অন্যের পোস্ট বা অন্যের ভিডিও কপি করা থেকে বিরত থাকুন তাহলেই আপনার অথেন্টিসিটি হবে। নিজের তৈরি করা কনটেন্ট গুলো কোন ধরনের কপি না হলে সেটিকেই বলা হয় নিজের অথেন্টিসিটি। তাই নিজের কনটেন্ট নিজে তৈরি করুন এবং ফেসবুকের রুলস মেনে চলুন। 

ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে অথবা ফেসবুকে মনিটাইজেশন পেতে হলে ফেসবুক বিশেষ কিছু রুলস তৈরি করে থাকে, যেগুলো মেনে চলা প্রতিটি ফেসবুক পেজ উনার এর কর্তব্য। কেননা এই নিয়ম নীতিগুলো মেনে না চললে ফেসবুক কখনোই আপনাকে মনিটাইজেশন দেবে না এবং আপনি কখনোই ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। আপনি কিভাবে ফেসবুকে কনটেন্ট মনিটাইজেশন পাবেন সেটি আপনি নিজেই এই রুলস গুলো পড়লে বুঝতে পারবেন। সেখানে সবকিছু বিস্তারিত বর্ণনা করার। আপনার প্রথম কাজ হবে আপনি সেই ইনস্ট্রাকশন সম্পূর্ণ পড়ুন এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে থাকুন। অবশ্যই আপনি সফল হবেন। 

ফেসবুকে কনটেন্ট মনিটাইজেশন পেতে হলে আপনার লেখা অথবা আপনার করা ভিডিওগুলো যেন আপনার নিজস্ব হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখবেন। কেননা অন্যের কোন ভিডিও বা অন্যের কোন লেখা কপি করলে সেটি ফেসবুক জানতে পারবে এবং আপনার ফেসবুক পেজে কপিরাইট ক্লেম দিয়ে দেবে। যার ফলে আপনার ফেসবুকের কন্টেন্ট মনিটাইজেশন আটকে যাবে এবং এটি কঠিন হয়ে পড়বে। তাই আপনার উচিত হবে যদি কখনো কোন ভিডিও বা কোন পোস্টে কপিরাইট ক্লেম চলে আসে তাহলে সেটি সাথে সাথে ডিলিট করে ফেলা। সেই সাথে এই ধরনের ভুল আর না করা। তাহলেই আপনি ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট মনিটাইজেশন খুব দ্রুত পেতে পারেন। 

তাহলে জানতে পারলেন তো কিভাবে ফেসবুকে কনটেন্ট মনিটাইজেশন পাবেন? এটি আসলেই একটি সহজ বিষয়। শুধু ফেসবুকে দেওয়া কিছু নিয়ম নীতি অনুসরণ করেই একটি পাওয়া যেতে পারে এবং মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

কিভাবে ফেসবুকে কনটেন্ট মনিটাইজেশনের আবেদন করব

ফেসবুক থেকে সহজে ইনকাম করা বর্তমান জেনারেশন এর জন্য পছন্দের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ফেইসবুক এখন সেখানে আপলোড করা ফটো, লেখা এবং ভিডিওর মাধ্যমে টাকা দিয়ে থাকে। যার ফলে আমাদের দেশের তরুণ সমাজ ফেসবুকের ইনকামের মধ্যে ঢুকে পড়ছে। ফেসবুকের ইনকাম হালাল নাকি হারাম সেটা সম্পর্কে কেউ চিন্তা করে থাকে না। তবে অবশ্যই আপনার চিন্তা করা উচিত। আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই হালাল এবং হারাম সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি কোন পথে ইনকাম করছেন সেটি হালাল হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করুন। যদি দেখেন কোথাও সেখানে সন্দেহজনক কোন কিছু মনে হচ্ছে তাহলে সেখানেই থেমে যান। কারণ হারাম পথে ইনকাম করে সারা জীবন চললে সেটি কোন কাজেই দিবে না বরং আপনার ইহকালীন এবং পরকালীন ক্ষতি করবে। 

সব সময় চেষ্টা করবেন হালাল পথে থাকার এবং হালাল পথে অর্থ উপার্জন করার। কেননা ইসলাম আমাদেরকে শিখিয়েছে সবকিছু হালাল ভাবে করতে হবে। হারাম পথে অর্থ উপার্জন করলে সেটি আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে । এর কারণে আমরা সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারবো কিনা বা আল্লাহর রহমত পাব কিনা এটি জানা আশঙ্কা জনক হয়ে দাঁড়াবে। মহান আল্লাহ তায়ালা হারাম পথে অর্থ উপার্জন কারীদের পছন্দ করেন না। তিনি তাদের পরকালে কঠিন আজাবের মধ্যে ফেলবেন। তাই আমাদের অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে সবসময় হালাল-হারাম নির্ধারণ করে এর পরে অর্থ উপার্জন করা উচিত। 

ফেসবুক থেকে যদি আপনি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে ফেসবুকে অ্যাড এলাও করতে হবে। কিন্তু সেই অ্যাডগুলোর মধ্যে যদি কখনো এমন অ্যাড আসে যেখানে জুয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হয় এবং জুয়াকে প্রমোট করা হয় তাহলে আপনার সেই ইনকাম কখনোই হালাল হবে না। তাই অ্যাড গুলো এমনভাবে সিলেক্ট করতে হবে যেন সেখানে কোন ধরনের হারাম না থাকে। সেই অ্যাডগুলোর মাধ্যমে যেন কোন মানুষের কোন ক্ষতি না হয়ে থাকে। তাহলে আপনি ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আশা করছি আপনি আল্লাহর দেখানোর পথে চলবেন এবং তার দেওয়া বিধি নিষেধ গুলো মেনে চলার চেষ্টা করবেন। 

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট মনিটাইজেশন পেতে হলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করে প্রফেশনাল মোড অন করতে হবে। এরপরে আপনাকে একটি আবেদন করতে হবে। সেই আবেদনটি করার সময় ফেসবুক আপনার কাছে যা যা তথ্য চাইবে, তা আপনাকে সঠিকভাবে পূরণ করে দিতে হবে। এরপরে ফেসবুক সে আবেদনটি নেওয়ার পরে কিছুদিন সময় নিবে আপনার অ্যাকাউন্টটি যাচাই করার জন্য। আপনার অ্যাকাউন্ট যাচাই করা হয়ে গেলে যদি ফেসবুকের মনে হয় যে আপনার আপনার নিজস্ব এবং তাতে কোন সমস্যা নেই তাহলে আপনাকে কন্টেন্স মনিটাইজেশন দেবে। এর পরবর্তীতে আপনি ইনকাম শুরু করতে পারবেন। ফেসবুকে নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করতে থাকলে অটোমেটিক ফেসবুক কন্টেন্ট মনিটাইজেশন হয়ে যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এই মনিটাইজেশনটি কি সহজে আসে না। আপনি যদি দেখেন আপনার ফেসবুক পেজে ভিউ এবং টাইমার অনেক বেশি আছে এবং আপনি নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড করে থাকেন, তবুও আপনার কনটেন্ট মনিটাইজেশন পাননি তখন আপনি আবেদনটি করবেন। তার আগে আবেদন করার দরকার নেই। আবেদন করার পরে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করুন এরপরই আপনি দেখতে পাবেন ফলাফল। 

যদি দেখেন যে ফেসবুক আপনাকে কনটেন্ট মনিটাইজেশন দেয়নি তাহলে বুঝবেন আপনার ফেসবুক পেজে কোন সমস্যা রয়েছে। এরপরে সেই সমস্যা খুঁজে বের করে সমাধান করুন এবং পরবর্তীতে আবার চেষ্টা করুন। তাহলে আশা করা যায় আপনি খুব সহজেই কনটেন্ট হনিটাইজেশন পেয়ে যাবেন। 

ফেসবুকে টাকা ইনকাম করা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। যেহেতু আমাদের দেশে বেকারত্বের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে, তাই যুবকেরা এবং যুবতীরা এই পথের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি অনেকের জন্য লাভজনক হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং অনেকেই এখানে কোন কিছুই করতে পারছে না। যার কারণে তারা হতাশ হয়ে যাচ্ছে। ফেসবুকে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। । পরিশ্রম ছাড়া কখনোই সফলতা অর্জন করা যায় না । পৃথিবীতে যে ব্যক্তি পরিশ্রম করে না সে কিছুই অর্জন করতে পারে না, বরং তাকে অন্যের হয়ে কাজ করে দিতে হয়। ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে ধৈর্য ধরতে হবে এবং ব্যবসা এর সাথে পরিশ্রম করে যেতে হবে। ফেসবুকে স্বচ্ছতা এবং নিজস্বতা  থাকতে হবে। কারণ ফেসবুক কখনো স্বচ্ছতা ছাড়া টাকা দেয় না। 

অবশ্যই আপনার খুশি হওয়া উচিত। কেননা আপনি এই মাধ্যমে আসলে আপনার নিজের মর্জি মতো চলতে পারেন এবং নিজেই নিজের মতামত শোনেন নিজের মত কাজ করেন। যার কারণে আপনার কারো কাছে কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। এই কাজের মাধ্যমে আপনারা আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং আপনি মানুষের সামনে যেয়ে দাঁড়াতে পারেন। 

আপনি দেখে থাকবেন আপনার এলাকার অথবা আপনার ক্লাসের একটি ছেলে যে কিনা ঘরের কোনায় পড়ে থাকত এবং ক্লাসে এসে শেষ বেল্টে বসত সে যদি কোন কারনে ফেসবুক পেজ খুলে কনটেন্ট ক্রিয়েট করা শুরু করে তাহলে দেখবেন তার মধ্যে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস জন্ম নিয়েছে এবং সে মানুষের সামনে চলাফেরা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। এটি এক দিক দিয়ে যেমন উপকারী তেমনি অপর দিক দিয়েও অপকারী। 

অনেক বিজনেস পেজ রয়েছে যেগুলো সাধারণ মানুষজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রোডাক্ট না দিয়ে সে টাকাগুলো রেখে দেয়। এর ফলে সাধারণ মানুষজনের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। ফেসবুক পেজ খোলার পরে এ ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। 

পৃথিবীতে সব কাজেরই একটি ভালো দিক এবং একটি খারাপ দিক থাকে। আপনাকে চেষ্টা করতে হবে সেই দিকগুলো ভেবেচিন্তে কাজ করা, যেন কোন সাধারণ মানুষের ক্ষতি না হয়ে থাকে। টাকা ইনকাম করার জন্য মানুষের ক্ষতি করা এক ধরনের অপরাধ। তাই সবসময় হালাল পথে চলুন, নিজেকে সুস্থ রাখুন। যেন আপনার নিজের সম্মান নিজের কাছে কখনো নষ্ট না হয়।